মাত্র ১০ হাজার টাকা মূলধন নিয়ে এই ব্যবসা শুরু, এখন চাঁদনীর মাসিক আয় দেড় লাখ টাকার বেশি!









নিজস্ব প্রতিবেদন :- এই গল্পটা একজন সফল মানুষের গল্প । কারণ চাকরির জন্য অপেক্ষা না করে নিজেই একটি ই-কমার্স সাইটের উদ্বোধন করে ফেলেছেন চাঁদনী দেবী । আমরা এই মুহূর্তে পড়াশোনা শেষ করার পাশাপাশি একটা চাকরি সন্ধানে থাকি । কারণ আমরা এমনটা মনে করে থাকি যে যদি জীবনে চাকরি না পেতে পারি তাহলে আমাদের জীবন সম্পূর্ণ রকম ভাবে বৃথা । প্রতিষ্ঠিত হতে গেলে অবশ্যই চাকরির দরকার পড়ে এমন একটা ভুল ধারণা আমাদের মধ্যে প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে ।




কিন্তু সেই ভুল ধারণা গু-লি কে একের পর এক ভেঙে দিচ্ছে সমাজে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষেরা চাঁদনী তাদের মধ্যে একজন। চাকরি দেবে সংসারের সবকিছু সামলে এমনকি দুই সন্তানের যত্ন নিও সফলতার সাথে চালিয়ে যাচ্ছে এই ই-কমার্স সাইট । এবং এই ফেসবুক পেজের তিনি নাম দিয়েছেন আরঙ্গ । তার কারণ এখানে তিনি বিক্রি করেন মেয়েদের সাজার জিনিস যেমন গয়না পুতির মালা থেকে শুরু করে যাবতীয় কিছু ।




মোটেও তার পক্ষে এমন একটি প্লাটফর্ম তৈরি করা সহজ ছিল না । মাত্র দশ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলেন চাঁদনী দেবী । পরবর্তী ক্ষেত্রে যত সময় যত বাড়তে থাকে তার ব্যবসার লাভের পরিমাণ । এমনকি নতুন নতুন অর্ডার আসতে শুরু করে ।যার ফলে তিনি সেখান থেকে শক্তি পায় আগে এগিয়ে যাওয়ার । তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালের শুরুর দিকে হঠাৎ করেই নিজের জন্য কেনা গহনাগুলো আড়ঙ্গ পেজ খুলে আপলোড করি।




পেজের নাম দিয়েছি মূলত যেখানে নারীদের সাজসজ্জার সরঞ্জাম সজ্জিত থাকে। রাতে আপলোড করি, সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখি অর্ডার আসে। মূলত সেখান থেকেই ধীরে ধীরে আমার যাত্রা শুরু। সফলতার বিষয়ে চাঁদনী বলেন, ‘সব প্রতিকূল পরিস্থিতি অনুকূলে আনা একার পক্ষে সম্ভব ছিল না।মা, বাবা, স্বামী, সহপাঠীদের সহযোগিতায় আমার পথচলা। এখনো কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারিনি হয়তো। তবে চেষ্টা করে যাচ্ছি।




নতুন নতুন ডিজাইনের পণ্য নিয়ে কাজ করাটা আসলেই আনন্দের। দেশীয় মসলিন, জামদানি শাড়ির জন্যই পেজটি বেশ পরিচিত। চেষ্টা করি মানুষকে ভালো মানের পণ্য দিতে।’ বর্তমানে সংসারের যাবতীয় খরচ তিনি এই ই-কমার্স সাইট থেকে উপার্জন হওয়ার টাকার মধ্যে দিয়ে চালান এবং আপনি জানলে অবাক হবেন যে মাস গেলে তার লক্ষাধিক টাকা উপার্জন হয় । গয়নাগুলো ডেলিভারি করার জন্য ১০ জন ডেলিভারি বয় কে কাজে নিযুক্ত করেছে তিনি । এবং এমনটা বলতেই হয় চাঁদনি দেবী যুব সমাজের কাছে এক অনুপ্রেরণা ।











