পঞ্চম শ্রেণি পাশ এই মহিলা, দুটি গরু নিয়ে দুধের বিজনেস করে আজ কোটিপতি!











নিজস্ব প্রতিবেদন :- আজকালের প্রতিবেদন কোন রান্না বা কোন হাসি মজার ঘটনা কে নিয়ে নয় । আজকের এই প্রতিবেদন এমন এক মহিলাকে নিয়ে যিনি আর বাকি পাঁচটা মহিলা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা । নিজের ইচ্ছে শ-ক্তির দ্বারা জয় করেছেন এই সমাজের প্রতিকূলতাকে । স্রো-তের বি-পরীত দিকে হেঁটে প্রমান করে দিয়েছেন যে চাইলেই করা যেতে পারে সবকিছু । এবং এই মুহূর্তে সেই মহিলা অনুপ্রেরণার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে হাজার হাজার লাখ লাখ মহিলা।





আমরা সাধারণত এমনটা ভাবি যে মেয়েদের জন্ম হয় বিয়ে হওয়ার জন্য । তারপর রান্না ঘর সামলানো সংসার সামলানো ইত্যাদিতে আ-বদ্ধ হয়ে পড়ে তারা । নিজের যেটুকু ইচ্ছে থাকে তা বিসর্জন দিয়ে দিতে হয় তাদেরকে । কিন্তু কখনো কখনো বিরল থেকে বিরত ঘটনা দেখা যায় এই সোশ্যাল মিডিয়ার দরবারে ।ঠিক তেমন দেখা গেছে এই ঘটনাটি ।এই ঘটনা সম্পূর্ণ বিবরণ শুনলে আ-পনি অ-বাক হ-বেন তার পাশাপাশি মহিলাকে কুর্নিশ জানাবেন ।





আমি এই মুহূর্তে যে মহিলার কথা বলতে চলেছি তার কাছে না আছে ভালো দামি পোশাক না আছে শিক্ষার উন্নত ডিগ্রী না আছে চাকরির নিয়োগপত্র । তবুও তিনি হাজার হাজার মানুষের অনুপ্রেরণার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে । মানুষ এটা ভাবে এ চাকরি ছাড়া জীবন অ-চল ।কিন্তু ব্যবসার মাধ্যমে জীবনকে প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে এটি তার নিকৃষ্ট উদাহরণ । আমি এই মুহূর্তের কথা বলতে চলেছি এমন এক নারির কথা যিনি সকল বা-ধাকে অ-তি-ক্রম করে এই মুহূর্তে জয় করেছেন সমাজের প্রতিকূলতাকে হয়ে উঠেছেন একজন সফল নারী ।





তিনি হলেন লোখনৌর বিটনা দেবী । পরিবারের আর্থিক অবস্থার অভাবে পঞ্চম শ্রেণি পাশ করেছিলেন তিনি ।তারপর আর পড়াশোনা হয়নি ।যদিও তার পড়াশোনা করে ইচ্ছে ছিল প্রবল পরিমাণে । তারপর তাকে ১৫ বছর বয়সে বিয়ে দেওয়া হয় এবং শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে বাকি অন্যান্য মেয়েদের মত রান্না করে সামলাতে থাকেন তিনি । অবশেষে একদিন তার মাথায় এই ব্যবসাটি করার চিন্তাভাবনা এলো । তিনি টাকা জমিয়ে দুইটি গরু ও একটি মহিষ কিনেছিল এবং সেখান থেকে দুধ উৎপন্ন হয় তা বিক্রি করতে শুরু করে ।





প্রথমদিকে নিজে গিয়ে গিয়ে দুধ বিক্রি করতো ।কিন্তু এখন তার ব্যবসার যথেষ্ট পরিমাণে উন্নতি ঘটেছে এখন তার আওতায় কাজ করে অনেক মহিলা কর্মী। এখন প্রতি মাসে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা উপার্জন করেন তিনি । তিনি বলেছিলেন যে আমি দুধ বের করার মেশিনের কিনেছিলাম কিন্তু সেই মেশিন থেকে দুধ বের করার পদ্ধতিটি আমার পছন্দ হয়নি। বর্তমানে তার ব্যবসা অনেকদূর প্রসারিত হয়েছে ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে তারা মোট ৫৬ হাজার ৫৬৭ লিটার দুধ উৎপাদন করেছেন।





তিনি প্রতিদিন প্রায় ১৫৫ লিটার দুধ সরবরাহ করেন এবং বর্তমানে তাদের দুগ্ধ খামার গু-লি প্রতিদিন ১৮৮ লিটার দুধ উৎপাদন করে।তার এই সাফল্যের কথা ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে নেটদুনিয়ায় সর্বত্র । তার পাশাপাশি তৎকালীন সিএম অখিলেশ যাদব এর কাছ থেকে তিনি পুরস্কার পেয়েছিলেন । এমনকি রাজনাথ কোবিন্দ এর থেকে তিনি রাষ্ট্রপতি পুরস্কার অর্জন করেছিলেন ।














